নোয়াখালিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কুখ্যাত রাসেল ভাইপার সাপ
নোয়াখালিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কুখ্যাত রাসেল ভাইপার সাপ
বিরল প্রজাতির কুখ্যাত বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার পাওয়া গেলো নোয়াখালীর হাতিয়ায়। স্থানীয়রা প্রথমে অজগর মনে করেন সাপটিকে ধরেন। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জানান এটি পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার।
নোয়াখালী অঞ্চলে রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি অবাক করেছে বন কর্মকর্তাদের। তারা রাসেল ভাইপার সাপটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পাটিয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবত সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করছে। এখন থেকেই রাসেল ভাইপারের ব্যাপারে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর বন কর্মকর্তারা।
রাসেল ভাইপার সাপ বা চন্দ্রবেড়া খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। নদীর স্রোত কে কাজে লাগিয়ে রাসেল ভাইপার অনায়াসে ভেসে বহুদূর চলে যেতে পারে। তাই ভারত থেকে নদীতে সাঁতার কেটে এই সাপ নোয়াখালীতে আসতে পারে বলে বন কর্মকর্তারা ধরনা করছেন।
রাসেল ভাইপার সাপ কতটা ভয়ংকর
রাসেল ভাইপার সাপ প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক সাপ। এর বিষদাঁত সারা বিশ্বের সাপেরদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিষদাঁত। রাসেল ভাইপার সাপ হিস হিস করে শব্দ করে। এর বিষ হেমাটোটক্সিক বিষ। যার কারনে মানুষের শরীরের মাংস পচে যায়।
রাসেল ভাইপার সাপ থাকার সম্ভাব্য স্থান
এই সাপের প্রধান খাবার হচ্ছে ইঁদুর। সে ইঁদুর খেতে খুব ভালোবাসে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ফসলের ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর থাকে। তাই ফসলের ক্ষেতে, ধানের গোলায়, মাটির গর্তে রাসেল ভাইপার সাপ থাকার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে।
রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে সচেতনতা
চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে হুবুহু অজগর সাপের মত। তাই মানুষ এটাকে নির্বিষ মনে করে ধরতে যায় এবং কামড় খেয়ে প্রান হারায়। সাপ দেখলে কখনো কাছে যাওয়া উচিত নয়। মনে রাখবেন বিষধর ও নির্বিষ সব সাপই কামড় দেই। তাই সাপ ধরতে গিয়ে কামড় খাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। বিষধর সাপ সন্দেহ হলে সাথে সাথে ৯৯৯ এ কল করে বন অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। সাপে কামড়ানো ব্যাক্তিকে কখনোই ওঝার কাছে নিবেন না। যত দ্রুত সম্ভব সরকারি হাসপাতালে নিয় যেতে হবে। যাপের এন্টি ভেনম ইনজেকশন একমাত্র সরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যায়।
1 Response
[…] দেখেছেন আপনাকে সাপে কামড়েছে বা সাপ তাড়া করেছে। খুব চিন্তিত আপনি? স্বপ্নে […]